শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
একটি জমি দখলে নিতে এলাকাবাসীরা তৎপর হয় চক্র। যার প্রতিবাদ করলেই মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। একই সঙ্গে কিলার হিসেবে ভাড়া করা হয় তিনজনকে। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ পাহাড়তলীর হালিমা পাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম।
সম্প্রতি হত্যাকান্ড ঘটার পর ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ইজিবাইক বিক্রির খবর ছড়ায় চক্রটি। অনুসন্ধ্যানে বেরিয়ে এসেছে জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় হত্যা করা হয়েছে মুজিবকে। যার তদন্ত শেষে হত্যাকান্ড জড়িত কিলার ও পরিকল্পনাকারীদেরও আসামী করেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করেন দক্ষিন পাহাড়তলীর হালিমা পাড়ার শাহ আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। তার উদ্দেশ্য ছিল মুজিবকে সরাতে পারলেই জমিটি দখলে নেয়া যাবে। সে অনুসারে ভাড়াটিয়া হিসেবে আনা হয় গ্রেপ্তার মোহাম্মদ মোস্তফা ওরফে শাওন, মোহাম্মদ আনোয়ার, ছৈয়দ হোসেন ও রমজান আলীকে। যারা পরিকল্পনা মত হত্যাকান্ড শেষ করে পালিয়ে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে-হালিমা পাড়ার জমিটি দখলে নিতে চেষ্টা করে শাহ আলম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে বাঁধা প্রদান করেন মুজিব। সে থেকে তাকে হত্যার টার্গেট করে শাহ আলম ও জাহাঙ্গীর। পরিকল্পা হিসেবে ভাড়া করা হয় শাওন ও আনোয়ারকে। তারা মিশন সফল করে পালিয়ে যান।
ইঞ্জিনিয়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে বলেন, গত ২১ বছর পূর্বে আমার বাবা হালিমা পাড়া মসজিদের পাশে প্রথমে ৭.৫ গন্ডা জমি ও পরবর্তীতে দুই গন্ডা জমি ক্রয় করেন। এই জমি আমাদের দখলে ছিল । হঠাৎ জাহাঙ্গীর আলম ও তার পিতা শাহাআলম মিলে কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাতের আধারে আমাদের জমিটি দখলে নেন। তখন থেকে আমাদের কে খুন করার হুমকি দিচ্ছে জাহাঙ্গীর ও তার পালিত সন্ত্রাস বাহিনী। আমরা এই নিয়ে থানায় অবগত করেছিলাম।
পৌরসভার সামনে মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা এসে বলেন, মুজিবকে খুন করা পিছনে জাহাঙ্গীর ও শাহাআলম জড়িত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। মুজিবের খুনের পিছনে যারা জড়িত আছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াছ খান বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাব চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।